অবশেষে অমুসলিম বিজ্ঞানীর স্বীকারোক্তি "কোরআন মানব রচিত নয়" এবং ইসলাম গ্রহণ...
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:০৫:০১ দুপুর
অসংখ্য অমুসলিম বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও ডাক্তার পেশাগত কারনে কোরানের বিভিন্ন আয়াত নিয়ে গবেষনা করেন। তারা কোরানের অসারতা প্রমাণ করতে গিয়ে যখন গভির গবেষনায় মগ্ন হয়ে যায় তখনিই তারা পবিত্র কোরানের বিজ্ঞানময়তায় অভিভুত হয়ে ইসলাম কবুল করেন। এই রকম দুইটি ঘটনা এই লিখায় সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি...
ঘটনা - ১ লোহা
মহান আল্লাহ সূরা হাদীদে লোহার কথা বলেছেন, "আমি লোহা নাযিল করেছি, এতে রয়েছে প্রচুর শক্তি, আর মানুষের জন্য প্রভুত কল্যান"
অমুসলিম বিজ্ঞানীরা কোরানের এই আয়াত নিয়ে গবেষণা করলো। আল্লাহ পাক যে বললেন আমি লোহা নাযিল করেছি! লোহা আবার নাযিল হয় কিভাবে? নাযিল হওয়া মানেতো উপর থেকে কোন জিনিস নিচের দিকে নেমে আসা! লোহা উপর থেকে নামলো, এটা আবার কেমন কথা? অনেক গবেষনার পর অবশেষে বিজ্ঞানীরা একমত হলেন যে, হ্যাঁ লোহা নাযিল হয়েছে। কারন লোহা হচ্ছে এমন একটি ধাতু যা দুনিয়াতে উৎপন্ন করা সম্ভব নয়।
লোহা দিয়ে দা, ছুরি, কাঁচী, কোদাল, খন্তা কত কিছুইতো বানানো হয়, কিন্তু লোহা কি কেউ বানাতে পারে? পারবে না। লোহা আছে খনির ভিতরে, খনি থেকে উত্তোলন করে রিপাইন করে তা দিয়ে টাইটানিকের মত জাহাজ বানানো হয়, আবার সুপার স্পুটনিক এর মত দ্রুতগামী যান বানানো হয়, কিন্তু লোহা এই দুনিয়ার কেউ বানাতে পারবেনা।
কেন পারবেনা! কারন বিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখলো যে, লোহা তৈরি করতে যে পরিমান তাপমাত্রা দরকার তা এই ভূপৃষ্ঠে নাই। লোহা তৈরি করতে ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা দরকার, যা আছে শুধুমাত্র সূর্যলোকে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা আরোও গবেষনা করে বললো, আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে সূর্যলোকে একটা প্রচন্ড বিস্ফারণ হয়েছিল, সেই বিস্ফোরনে লোহা নামক ধাতুটি মহাশুণ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পৃথিবীর যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি (ল অব গ্রাভিটেশন) আছে তা লোহা নামক ধাতুটিকে নিচের দিকে নামিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে লোহা নাযিল হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় লোহার খনির সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন হচ্ছে মুহাম্মদ (স) তো কোন পদার্থবিজ্ঞানী ছিলেন না, তাহলে তাঁর পক্ষে কি করে সম্ভব হলো যে লোহা নাযিল হয়েছে এই কথা বলার?
এটা কি সম্ভব!!! এটাই প্রমান করে এই কোরান মানব রচিত নয়, নিঃসন্দেহে এটি ঐশী গ্রন্থ, কোরান নাযিল হয়েছে, আর এটি নাযিল করেছেন গোটা বিশ্বজাহানের স্রষ্টা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
ঘটনা - ২ মিঠা পানি
একজন কানাডিয়ান নাবিক, তাকে তার এক বন্ধু কোরানের একটা কপি দিয়ে বললো, বন্ধু তুমি তো দুনিয়ার অনেক বই পড়েছো, এই কিতাবখানা পড়ে আমাকে বলিও কেমন লাগলো। কানাডিয়ান নাবিক কোরানের অনেক নাম শুনেছে তাই কোরানের এই কপিটা পাওয়ার পর অনেক খুশি হয়ে গেল। মনোযোগের সাথে কোরান পড়তে শুরু করে দিল, আর কোরান পড়তে গিয়ে কোরানে সমুদ্রসংক্রান্ত যতগুলো আয়াত রয়েছে সব গুলোর প্রতি তার মনযোগ আকর্ষিত হলো। আর ভাবতে লাগলো কোরানের ভিতরে সমুদ্রের কথাগুলো কিভাবে আসলো? যার উপর কোরান নাযিল হয়েছে তিনি কি কোন সমুদ্রবিজ্ঞানী ছিলেন নাকি? বিশেষ করে সূরা আর রাহমানের একটা আয়াত তাকে খুব বেশি বিচলিত করলো। ঐ আয়াতে লিখা আছে "দুইটি সমুদ্র পরষ্পর মিলিত হয়েছে, আর এদের মাঝে রয়েছে অনতিক্রমণীয় অন্তরায়" (আয়াত নং ১৯-২০)
তিনি কথাটা বুঝতে পারলেন এবং তার চোখের সামনে ভেসে উঠলো, আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে এমন একটি জায়গা রয়েছে, জায়গাটা ৪০০০ কি.লি লম্বা আর ২৫০০ কি.মি চওড়া, শুধু এই জায়গার পানি অত্যন্ত সুমিষ্ট ও সুপেয়।
তিনি চিন্তা করলেন আসলেই তো পার্টিশন ছাড়া এটা হতে পারে না, কিন্তু সেই পার্টিশন চর্মচক্ষু দিয়ে দেখা যায়না। আটলান্টিক মহাসাগরের এই জায়গার খবর কোরানের মধ্যে কিভাবে চলে আসলো??
কোরান পড়া শেষ করার পর তিনি তার মুসলিম বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি আমাকে যে গ্রন্থটি দিলে এই গ্রন্থ যার উপর নাযিল হয়েছে তিনি কি আমার মত কোন সমুদ্রবিজ্ঞানী ছিলেন কিনা? নাবিক ছিলেন কিনা? জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন কিনা?? মুসলিম বন্ধুটি উত্তর দিলেন, তিনি সমুদ্রবিজ্ঞানী তো দুরের কথা জাহাজের নাবিকও তিনি ছিলেন না এমনকি তিনি লেখাপড়া পর্যন্ত জানতেন না। জাহাজের ক্যাপ্টেনতো বহুদুরের কথা পানির প্রয়োজন হলে তাঁকে মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হতো। তাঁর চতুর্দিকে ছিল বালি আর বালি ধুধু মরুভূমি, তিনি ছিলেন মরুভূমির অধিবাসী।
বন্ধুর সব কথা শুনার পর সাথে সাথেই ঐ নাবিক বলে উঠলো, আমার মনের ভিতর যত সন্দেহ সংশয় ছিল সব দুর হয়ে গেছে, আমার মনের মধ্যে এই বিশ্বাস জেগেছে এই কোরান কোন মানবের রচিত হইতে পারেনা, নিঃসন্দেহে এইটি তাঁরই নাযিল করা যিনি এই সমুদ্রের স্রষ্টা। আমি ইসলাম কবুল করতে চাই, তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও কিভাবে ইসলাম কবুল করতে হয়। তখন মুসলিম বন্ধু বললেন পড় আমার সাথে "লা..ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ"
এইভাবেই কোরানের বিজ্ঞানময়তায় অভিভুত হয়ে বিশ্বব্যাপী অমুসলিমেরা ঘোষনা দিচ্ছে কোরান মানব রচিত নয় এবং সাথে সাথেই ইসলাম গ্রহন করতেছে।
হে আল্লাহ, আমাদের সবাইকে কোরান বুঝার ও মেনে চলার তৌফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
৩৪০০ বার পঠিত, ৪০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাফসীরের স্ক্রীণ শট গুলা চেনা চেনা লাগে...!
আমিন
চট্টগ্রামে হালদা ও কর্ণফুলির সঙ্গম স্থলে দেখলে পরিস্কার বুঝা যায় মিস্টি ও নোনা পানির পার্থক্য।
ফাটাফাটি লেখা। আমার অন্তরটা বিশ্বাসে ভরে দিলেন। কি বলে যে শুকরিয়া জানাবো। তাই উত্তম দোয়াটিই করি: জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।
আল্লাহ তায়ালা আপনার দুনিয়া ও আখিরাত কল্যাণে ডুবিয়ে দিক। আমীন।
আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাজাকাল্লাহ
লোহা যে একটি শক্ত বস্তু এবং দরকারি জিনিস........ এসব মামুলি কথা কোরাণ পয়দা হওয়ার হাজার বছর আগেও মানুষের জানা ছিল।
আদম, হাওয়া, কুত্তা, বিলাই, শুকর, ছাগলের মত লোহাকেও আল্লা তা হলে আসমান থেকে টুপুস করে ফেলেছে?? আর পিতল, কাশা, তামা..... এগুলো শয়তান নাজিল করেছে?? নাকি?
বিজ্ঞান শুধুমাত্র গত কয়েক দশকে এগুলোর সাথে পরিচিত হচ্ছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন