আজ ২৬ মার্চ, বাঙালির শৃঙ্খল মুক্তির দিন

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৬ মার্চ, ২০১৭, ০৭:৩১:৪২ সন্ধ্যা



আজ ২৬ মার্চ, বাঙালির শৃঙ্খল মুক্তির দিন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনার গৌরবময় দিন- মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল বীর বাঙালি। বাংলার ঘরে ঘরে গড়ে ওঠা দুর্গ থেকে বের হয়ে এসেছিল দামাল ছেলেরা। প্রথমবারের মতো জাতীয়ভাবে গণহত্যা দিবস পালনের পরদিন আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দিবসটি উৎযাপন করবে জাতি। একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রেপ্তারের আগে অবিসংবাদিত এই নেতা শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে দেশবাসীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। সেই থেকে শুরু। এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে টানা ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতার ক্ষেত্রে তা যে আরও প্রাসঙ্গিক সহজেই অনুমেয়। বাঙালির পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশকে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে দেশ গত ৪৬ বছরে কতটুকু এগিয়েছে জাতি সে মূল্যায়ন করছে আজ স্বাধীনতার বার্ষিকীতে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান ঘুচাতেও এ দিন শপথ নেবে দেশপ্রেমী প্রতিটি মানুষ। জাতি এ বছর এমন এক সময় ৪৬তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যখন মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। আরও কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া চলছে। দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার এ প্রয়াসের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে পাকিস্তানি বশংবদরা। জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে তারা বাংলাদেশের জনগণের সব অর্জনকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই অশুভ শক্তির মোকাবিলায় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বাধীনতার সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে আরও প্রত্যয়ী হতে হবে সকলকেই।

বিষয়: বিবিধ

৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File